এপ্রিল 20, 2024

কাঁচা, বাটা না গুঁড়া মসলা

সুস্বাদু রান্নার জন্য নানা রকম মসলার কোনো বিকল্প নেই। এই মসলা কখনো বেটে, কখনো এর গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। তবে আমাদের দেশে গোটা বা কাঁচা মসলা দিয়ে রান্নার প্রচলন কম।

মসলা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, মসলার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা, মেথি, কালিজিরা, শর্ষে, হিং, সাদা তিল—এ রকম প্রতিটি মসলা ঠিক ওষুধের মতোই কাজ করে। মসলার ঔষধি গুণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেহের সব কোষকে সুরক্ষা দেয়। যেকোনো রোগের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে মসলার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

তবে বর্তমানে কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ী গুঁড়া মসলায় কাপড়ে ব্যবহৃত বিষাক্ত রং, কাঠ ও ইটের গুঁড়া, ধানের তুষ, আরগেমেন বীজ, সিসা বা লেড ক্রোমেট, ক্যাসিয়ার বার্ক, নিষিদ্ধ ম্যালাকাইট গ্রিন ইত্যাদি মেশায়। এই বিষাক্ত পদার্থগুলো কিডনি, লিভারের বিভিন্ন রোগসহ সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বাড়ায়। তাই বাজার থেকে কেনা গুঁড়া মসলার পরিবর্তে ঘরে বেটে নেওয়া তাজা মসলা অধিক স্বাস্থ্যকর। এ ছাড়া হলুদ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ কিন্তু চাইলেই গোটা ব্যবহার করা যায়।

তাজা বাটা বা গোটা মসলা ব্যবহারে রান্নায় চমৎকার ঘ্রাণ আসে। তাজা বাটা মসলায় কিছু পরিমাণ তেল থাকায় রান্নায় স্বাদের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। মসলার এই প্রাকৃতিক তেল বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকালে নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা লবঙ্গ বা গোলমরিচ গুঁড়া করে অনেক দিন ব্যবহার করি। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ইউজেনল ও ক্যারিওফিলিন নষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে একটু ছেঁচে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করা ভালো।