এপ্রিল 18, 2024

শরীরচর্চায় স্মার্টফোনের সাহায্য নেবেন যেভাবে

1 min read

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ আগে নিজেরাই শরীরচর্চা করতেন। বড়জোর একটা ক্লাব বানিয়ে সেখানে সবাই মিলে অনুশীলন করতেন। তারপর এল জিমে যাওয়ার সংস্কৃতি। মাসিক খরচের বিনিময়ে সদস্য হয়ে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যায় শরীরচর্চার বিভিন্ন সরঞ্জাম। থাকেন পরামর্শক বা উপদেষ্টা। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, কে কোন অনুশীলন করবেন, খাওয়াদাওয়া কেমন করতে হবে, সব তিনি বলে দেন। আবার কেউ শরীর গঠন করতে চাইলে বাতলান বিশেষ টোটকা।

জিমের আবেদন এখনো আছে। তবে সবার পক্ষে তো আর জিমে যাওয়ার সুযোগ হয় না। কারও পক্ষে সময় দেওয়া মুশকিল। কেউবা অনেক ছোটাছুটির মধ্যে থাকেন। আজ এখানে, কাল ওখানে। ফলে নিয়মিত কোনো নির্দিষ্ট জিমে যাওয়া জটিল হয়ে পড়ে। অনেকের আবার বাসার কাছাকাছি নেই পছন্দমাফিক জিম। তাঁদের জন্যও এখন আছে সমাধান। সেটাকে ‘স্মার্ট সমাধান’ও বলা যেতে পারে। কারণ, সমাধানটা আছে আপনার স্মার্টফোনে! হ্যাঁ, নামিয়ে নিতে পারেন ফিটনেস অ্যাপ।

না, তাতে জিমের প্রথম সুবিধাটা মেলে না। মানে, শরীরচর্চার সরঞ্জাম ভাগাভাগি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরামর্শ পাওয়া যায় ষোলোআনা। সে বাবদে সুবিধা বরং আরও বেশি। কারণ, জিমে একেকজন পরামর্শককে অনেক গ্রাহকের দেখভাল করতে হয়। ফলে করণিক ভুলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হয়তো পরামর্শক আপনার কোনো সমস্যার কথা ভুলে গেলেন। বা নতুন কোনো পরামর্শ দিতে দেরি করে ফেললেন। বিপরীতে অ্যাপসগুলোতে এসব ভুলের আশঙ্কা কম। যদি না আপনি ভুল তথ্য দেন।

বরং আরও কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা, জিমের তুলনায় অ্যাপসের খরচ অনেক কম। যাওয়া-আসারও ঝামেলা নেই। কেবল একটা স্মার্টফোন থাকলেই চলবে। জিমই চলে আসবে আপনার কাছে। আপনি যখন জিমে যাবেন, সেখানকার সঙ্গীরা কেমন, তার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। তার সঙ্গে ভালো বনিবনা না হলে জিমে যাওয়া উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় আবার ভিড় বেশি হয়ে যায়। তখন মনমতো ব্যায়াম করাও কঠিন হয়ে পড়ে। অ্যাপস ব্যবহারে এসবের কোনো বালাই নেই। তার নির্দেশনা অনুসারে আপনি আপনার মতো ব্যায়াম করবেন। যখন খুশি, যেখানে খুশি।

অ্যাপস ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হলো, আপনি নিজেই নিজেকে অনুসরণ করতে পারবেন। নিজের ব্যায়ামের ওপর নজর রাখতে পারবেন। কবে কোন ব্যায়াম করেছেন, কোন দিন কতটা করেছেন, দেখতে পারবেন। নতুনদের জন্য এই হিসাব দেখাটা বেশ উৎসাহ দেয়। আর অভিজ্ঞদের জন্য এগুলো বেশ সহায়ক তথ্য। বিশেষ করে সামনের দিনগুলোতে কীভাবে পরিকল্পনা করবেন, সে জন্য।

এখন প্রশ্ন হলো, কোন অ্যাপসগুলো ব্যবহার করবেন? গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে এ ধরনের অ্যাপস আছে শয়ে শয়ে। অনেকগুলো আছে কোনো কাজেরই না। কোনো কোনোটি মোটামুটি। কোনোটি বেশ ভালো। সেগুলোর থেকে বাছাই করা এই ৯টিকে আপনি বিবেচনা করতে পারেন। তার থেকে আপনার চাহিদামাফিক বেছে নিতে পারেন যেকোনোটি। এগুলো হলো—